সার্ভিস ইনোভেশন ফান্ড
একসেস টু ইনফরমেশন(এ টু আই) প্রোগ্রাম
ওয়েবঃ www.e-service.gov.bd
‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’-র অংশ হিসেবে বাংলাদেশ সরকার ‘এক্সেস টু ইনফরমেশন’ প্রকল্প গ্রহণ করেছে।সেই প্রকল্পের আওতায় ‘সার্ভিস ইনোভেশন ফান্ড’ গঠন করা হয়েছে। বাংলাদেশের সব শ্রেণীর মানুষের কাছে ই-সেবা পৌঁছে দিতে চালু করা হয়েছে এই ফান্ড।২০১৩ সালের মার্চ মাস থেকে শুরু হওয়া এই ফান্ড দেয়ার লক্ষ্য সরকারি এবং বেসরকারি পর্যায়ে নেয়া বিভিন্ন উদ্যোগকে উৎসাহিত করা।এছাড়া দেশের প্রান্তিক এবং দরিদ্র জনগোষ্ঠী যেন সহজে, দ্রুত এবং স্বল্প ব্যয়ে সরকারি-বেসরকারি সেবা গ্রহণ করতে পারে সেই চিন্তা মাথায় রেখে নতুন নতুন সম্ভাবনাময় উদ্যোক্তাদেরকেও সাহায্য করাই এই ফান্ডের লক্ষ্য।
মূলত যেকোনো টেকসই উন্নয়ন উদ্যোগের জন্যও দেয়া হবে এই সার্ভিস ইনোভেশন ফান্ড।যে কোন ব্যক্তি, শিক্ষার্থী, শিক্ষক, এনজিও, সরকারি বা বেসরকারি যে কেউ এই ফান্ডের জন্য আবেদন করতে পারবে। এই ফান্ডের বেশ কিছু ভাল দিকের মধ্যে রয়েছে-
১। প্রক্রিয়াটিতে অনেক কম সময় লাগে(ভ্রমণ, অপেক্ষাকালিন সময় এবং সম্পূর্ণ লেন-দেন করার সময়)
২।জনগণের খরচ কমে যাবে (ফি,ভ্রমণ খরচ ইত্যাদি ছাড়াও অতিরিক্ত অন্যান্য খরচ)
৩।ভ্রমণের সংখ্যা বা পরিমাণও কমে যাবে। এবং সর্বশেষ,
৪। সেবার মান বৃদ্ধি হবে।
বাংলাদেশ সরকারে এটুআই প্রোজেক্ট থেকে থেকে আয়োজিত এক সভায় এসব সম্পর্কে জানানো হয়।তবে সবার জন্য এই ফান্ড উন্মুক্ত নয়। এই ফান্ড পেতে ছোট্ট আরেকটি শর্ত পূরণ করতে হবে। ওয়েবসাইট তৈরি, অফিস অটোমেশন, ডাটাবেইজ তৈরি, মোবাইল ফোন অ্যাপ, ইন্টারনেট অ্যাপ অথবা অন্য সফটওয়ার ডেভেলপমেন্টের সাথে জড়িত বিষয় গুলোর উদ্যোক্তারাই কেবল এই ফান্ড পাবেন।
এই ফান্ড সংগ্রহের প্রক্রিয়াটিও হবে অনলাইনে।ফান্ড প্রদানের সর্বোচ্চ সীমা ধরা হয়েছে ২৫ লক্ষ্য টাকা। প্রকল্পও গুলো বাস্তবায়নের জন্য ১২ মাস সময় দেয়া হয়েছে।এসব প্রকল্পের মধ্যে ২০১৫ সালের বইমেলাতে ‘বাংলা ওসিয়ার’ প্রকল্পটি উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।প্রকল্প গুলো বাস্তবায়ন হয়েছে কিনা এসব মনিটর করার জন্য ‘ইনোভেশন ফান্ড মনিটরিং টিম’ও রয়েছে।এরই মধ্যে ৩৫ টি প্রকল্পকে ৩ টি পর্বে ফান্ডের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
টুরিসম পোর্টাল ফর বিপিসি, বাংলাদেশ ট্যুরিজম অ্যাপ, টেলি কন্সাল্টেশন প্রোজেক্ট, কমিউনিটি এফ এম রেডিও, স্মার্ট ক্লাসরুম বাই জাদু পিসি এসব প্রোজেক্টের মধ্যে অন্যতম।এসব প্রোজেক্টের মধ্যে অনলাইনে ওয়ারিশ সনদ প্রদানের প্রোজেক্টটির মাধ্যমে অনেক ভাবেই উপকারী হবে বাংলাদেশিরা।এখন আর আগের মত সনদ করতে যেয়ে দৌড়াতে হবে না। খুব দ্রুত ইন্টারনেটে থেকেই এসব কাজ করা যাবে। টেলি-কনসালটেন্সি প্রোজেক্টটির কারণে সবচেয়ে বেশি উপকৃত হবে ঢাকার বাহিরের মানুষেরা। এর ফলে প্রত্যন্ত এলাকায় টেলিফোন সংযোগ থেকেই বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ পেতে পারবে।
তাছাড়া, অনলাইনে মোবাইল ব্যাংকিং সংক্রান্ত দু তিনটি প্রোজেক্টের কথাও উল্লেখ রয়েছে। এসব প্রোজেক্টের লক্ষ্য মোবাইল ব্যাংকিং- এর মাধ্যমে পৌরসভা এলাকায় পানির বিল পরিশোধ করা।
আরও কিছু সম্ভাবনা ময় প্রোজেক্টও রয়েছে। তার মধ্যে অনলাইনে প্রবাসীদের সমস্যা সমাধানের জন্য স্মার্ট ফোন ট্যাবে চলার উপযোগী করে ‘প্রবাস বন্ধু’ অ্যাপলিকেশন অন্যতম।
নিঃসন্দেহে বলা যায়,এসব প্রোজেক্ট বাংলাদেশের সামাজিক এবং অর্থনৈতিক উন্নতিতে বড় ভূমিকা রাখতে যাচ্ছে। সে সাথে এই ফান্ডের ফলে নতুন নতুন উদ্যোক্তারা তাদের কাজ নিয়ে আরও বেশী উৎসাহিত হবে।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস